1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

দলীয় ব্যানারে রাজনীতি করলেই বহিষ্কার: শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর বেরোবি প্রশাসন

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

বেরোবি প্রতিনিধি:

রংপুরের বেগম রোকেয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা ও একাডেমিক পরিবেশ রক্ষায়
প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের লেজুড়বৃত্তিক বা
দলীয় ব্যানারে রাজনৈতিক কার্যক্রমে জড়ালে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে আজীবন
বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে
একদিকে যেমন প্রশাসনিক কঠোরতা প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি অন্যদিকে ছাত্র
রাজনীতির একটি অংশে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া।

সিন্ডিকেটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

গত ১৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১১তম সিন্ডিকেট সভায় এই
সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। এর আগেই ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ১০৮তম সিন্ডিকেট
সভায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আবাসিক হলে সিট বাণিজ্য ও লেজুড়বৃত্তিক
রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নতুন সিদ্ধান্তে বলা
হয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আজীবন বহিষ্কারের পাশাপাশি
দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে।

ছাত্রদলের তীব্র প্রতিক্রিয়া

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কেউ লিখেছেন, “রাজনীতি করায় ফাঁসি
চাই”, কেউবা বলেছেন, “স্বৈরাচারের আরেক উদাহরণ এই সিদ্ধান্ত।” ছাত্রদলের
আহ্বায়ক আল আমিন ইসলাম বলেন, “দেশের প্রতিটি আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা
ঐতিহাসিক। প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রেসক্রিপশনে করা।
আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দ্রুত তা প্রত্যাহারের
দাবি করছি।”

বিকল্প মত ও সমর্থন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন,
“লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রশংসনীয়। তবে গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ
হিসেবে আগামী দুই মাসের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া উচিত।”
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. সোহেল রানা
বলেন, “দলীয় রাজনীতির নামে ছাত্রদের ব্যবহার করে যে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা
হয়েছে, তা শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করেছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত শিক্ষাঙ্গন
রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।”

পরিপ্রেক্ষিত বেরোবিতে পূর্বেও রাজনীতির নামে সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপকর্মের

অভিযোগ উঠেছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতেই
নেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD