সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
কখনও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মানুষকে সচেতন করছেন, কখনও বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন ইউএনও লিয়াকত সালমান। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি পাঁচটি দফতরের কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আর কেউ নন, একজন মানবদরদী মানবিক ইউএনও লিয়াকত সালমান।
‘জনসেবাই জনপ্রশাসন’ এ বাক্যটির বাস্তব উদাহরণ যেন তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিয়াকত সালমান। উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বের পাশাপাশি একাধারে উপজেলা পরিষদ ও তানোর পৌরসভার প্রশাসক, মুন্ডুমালা পৌর প্রশাসকএবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। কাজ পাগল মানুষ বলতে যা বোঝায় এ যেন ঠিক তাই! সকাল নয়টা থেকে শুরু করে রাত বারোটা পর্যন্ত দাফতরিক কাজ করা এটা যেন তার প্রতিদিনের রুটিন। দাফতরিক কাজের স্বার্থে কোনো কোনো দিন রাত বারোটার পরেও অফিস করতে দেখা যায়।
পাঁচটি দফতরের কাজের পাশাপাশিও তিনি উপজেলার বিভিন্ন হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর পাশে সহযোগিতার হাত বাড়ানো প্রতিদিনের রুটিনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে তানোর উপজেলার ইউএনও লিয়াকত সালমান।
রাত দিন এভাবেই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যেখানেই আইনের লঙ্ঘন সেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা তো রয়েছেই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কৃষি জমি, থেকে অবৈধভাবে মাটি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অবৈধভাবে মালামাল মজুদকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতোমধ্যে তিনি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। সৎসাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একজন মানুষ অনেক কিছু বদলে দিতে পারেন তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।
কথাবার্তায় মার্জিত ও আচরণে অত্যন্ত ভদ্র, সাদামাটা, সহজ-সরল স্বভাবের এই মানুষটি মাত্র ৬ মাসেই উপজেলাবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা, বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ প্রতিকারে আশ্রয়স্থলের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন ইউএনও লিয়াকত সালমান। বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলো জমকালো এবং দৃষ্টিনন্দন করে পালন করার নজির সবার মুখে মুখে। উপজেলাজুড়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
তিনি যোগদানের পরে উপজেলা পরিষদের আবাসিক কোয়ার্টার গুলো বাসযোগ্য করে তোলা, অডিটোরিয়ামটিকে সংস্কার করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা , পুরানো বিল্ডিংয়ে রং করে নতুন রূপে সৌন্দর্যবর্ধন করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষায় নকলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহযোগিতা করে চলেছেন জনবান্ধব ইউএনও লিয়াকত সালমান।
ইউএনও লিয়াকত সালমান এ ব্যতিক্রম কর্মোদ্যম ও দায়িত্ববোধ এ উপজেলায় দিন দিন যোগ হচ্ছে উন্নয়নের নতুন মাত্রা। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। প্রতিটা দফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ঐক্য ও মনোবল সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তারা সময়ের দিকে লক্ষ্য না করে সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজের প্রতি অধিক দায়িত্ববান হয়ে উঠেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাত অবধি দাফতরিক কাজ করলেও মুখে নেই কোনো চিন্তার ভাঁজ।
তানোর উপজেলা তার উপস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দফতরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। তানোর উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে তার যেন চিন্তার শেষ নেই। তার চিন্তার সফল বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার একাধিক মহলসহ জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের বিচক্ষণ ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে ইউএনও লিয়াকত সালমান বলেন, আমি কাজে বিশ্বাসী সৎভাবে থাকতে চাই। আমার ওপর অর্পিত সব দফতরের সরকারি নির্দেশনা সফলভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোনো সমস্যা মনে হলে আমার কাছে আসুন ভুল ত্রুটি দেখিয়ে দেন আমি সবার সহযোগিতায় সমাধান করার চেষ্টা করব ইনসাল্লাহ। এজন্য তানোরের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply