নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সদর উপজেলার ১২৩ নং হিজলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না রানী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। রুটিন মেইনটেইনেন্সের কাজের ৩২ হাজার টাকার কাজ না করে ভূয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন তিনি।
আর তার এই অনৈতিক কাজে সহযোগীতার অভিযোগ রয়েছে অন্যান্য কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
প্রধান শিক্ষীকা নিয়ম বহির্ভূত কাজ কর্ম করলেও
নিজেদের ব্যক্তিগত অনৈতিক সুবিধা হারানোর ভয়ে অন্যান্য শিক্ষকরা কিছু বলেন না।
১২৩ নং হিজলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষীকার বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব ,হুন্ডিতে টাকা পাচার, সময় মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া, অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ,শ্রেনীকক্ষে বসে ক্লাস চলাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও অডিও কলে দেশ বিদেশে কথা বলায় ব্যস্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও একজন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে টিফিনের সময় বাসায় চলে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এর ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়টিতে আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী, অনেকেই হিজলডাঙ্গা স্কুল বাদ দিয়ে ছেলেমেয়েদের পাশ্ববর্তী সীতারামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে সরেজমিনে হিজলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়টি বছর খানেক কোন দৃশ্যমান কাজ হতে তারা দেখেন নি।বিদ্যালয়টির উত্তর পাশ্বের একাধিক ভাঙ্গা জানালা ও প্রধান ফটকের সামনে পলেস্তার খসে পড়া অংশ দেখিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, যদি কাজ হতো তাহলে কি এই অবস্থা থাকতো।
ম্যাডামরা সারাদিন গল্পগুজব আর মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকেন,পুরুষ শিক্ষক আছেন স্বপন বাবু, তার কথা কে শোনে, তিনি দুপুরে খাবার খেতে চলে যান বাসায়,
শুনেছি নতুন ভবনের অনুমোদন হয়েছে, কিন্তু তা শুরু হওয়ার কোন নমুনা দেখছিনা, যতদিন ভাঙাচোরা থাকবে ততদিনই তো লাভ, ভুয়া বীল ভাউচার করে সরকারি টাকা মেরে খাবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না রানী বিশ্বাসের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, একমাস আগে রুটিন মেইনটেইনেন্সের বীল তুলেছেন,৪০ হাজার টাকা বীল পাশ হয়েছিল, তার মধ্যে ৮ হাজার টাকা ভ্যাট কেটে নিয়েছে, ৩২ হাজার টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা হাতে পেয়েছেন,ক্লাস রুমের ভীতরে বিদ্যুৎ ও মটরের কাজ করিয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন।
এবং এই প্রতিবেদককে স্কুলে চা পানের দাওয়াত দেন।
স্কুলের ভাঙ্গাচোরা জানালা ও পলেস্তার খসে পড়েছে এগুলো মেরামত করেন নি কেন জানতে চাইলে বলেন ঐগুলো সহকারী শিক্ষক স্বপন বাবুর উপর দায়িত্ব দেয়া, ঐগুলো উনি মিস্ত্রী ডেকে ঠিক করবেন,বীল করা হয়ে গেছে,
কাজ না করে কিভাবে বীল করলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষীকা স্বপ্না রানী বিশ্বাস কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
Leave a Reply