সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর চারঘাটে মায়ের ওপর অভিমান করে ফাঁসিতে ঝুলে বখতিয়ার (১২) নামের এক স্কুল ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। বখতিয়ার উপজেলার মোক্তারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। রোববার (১২ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার মোক্তারপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকাল ৫ টার দিকে নিহত বখতিয়ার মোক্তারপুর মধ্যপাড়ায় তাঁর বড় বোন দিপ্তির বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ নিয়ে তাঁর মা দিলারা বেগম বখতিয়ারকে বকাঝকা করেন। এর পর কোন কিছু না বলে বখতিয়ার মোক্তারপুর মন্ডলপাড়া মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে বাড়িতে এসে নিজ ঘরে অবস্থান করছিল। এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য তার বাবা শরিফুল ইসলাম ডাকতে গেলে দেখে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। বাবা বার বার ডাকাডাকিতে ছেলের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে বখতিয়ারের দেহ ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের সহযোগীতা বখতিয়ারকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ছেলের এমন মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মা দিলারা বেগমসহ পরিবারের কেউ। বার বার মা মুর্ছা যাচ্ছেন মা।
বোন দিপ্তি কান্না জড়িত বলেন, কে জানতো আমার বাড়ীতে এই যাওয়ায় আমার ভাইয়ের শেষ যাওয়া। মায়ের ওপর রাগ করে ভাইটি আমার চির বিদায় নিলো। কাকে ভাই বলে ডাকবো।
বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, কে জানতো মায়ের বকুনি সহ্য করতে না পেরে আমার কলিজা এভাবে সবাইকে কাদিয়ে চলে যাবে।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply