বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পরে সর্বশান্ত ঢাকা জেলার নবাব গঞ্জ থানার দূর্গাপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মোঃ বিপ্লব (২৮)।
দঃকোরিয়া নেওয়ার কথা বলে একই থানা এলাকার তার বন্ধু মোঃ মনির হোসেন ভুক্তভোগীর
কাছ থেকে তার আত্মীয় দৌলতপুর গ্রামের ইলাহি ও দূর্গাপুর গ্রামের মোকছেদার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন সতের লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা।
মামুন দঃকোরিয়া চলে গেলেও বিপ্লবের যাওয়া হয়নি।
দীর্ঘদিন তাদের পিছনে ঘুরে বিদেশ যেতে না পেরে একপর্যায়ে অভিযুক্ত ইলাহি ব্যপারি ও মোকছেদা বেগমকে টাকার জন্য চাপ দিলে তারা সতের লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকার চেক দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এ প্রতিবেদক কে জানান, গত
২৯ শে আগষ্ট
অভিযুক্ত জুয়েল,ইলাহি ও তার পোষা সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের বাড়ীতে ঢুকে সবকিছু ভাঙচুর করে।
আমাকে অনেক মারধর করে এবং আমার পাওনা বাবদ তাদের দেওয়া সতের লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকার চেক ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে অভিযোগ করতে থানায় যেতে চাইলে তারা আমাকে প্রান নাশের হুমকি দেয় ও আমার ষ্টীলের আলমারির চাবী নিয়ে তার ভীতরে কিছু রেখে চাবী না দিয়ে চলে যায়।
চাবী না থাকায় আমি আলমারি খুলতে পারিনি।
এর কিছুক্ষণ পরে ইলাহি ও মোকছেদা আমার বাড়ি পুলিশ নিয়ে আসে, পুলিশ এসে আমার বাড়ি তল্লাশি করে, আলমারির চাবী না পেয়ে তালা ভেঙে ভীতরে ইলাহি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আমাকে ফাঁসানোর জন্য রেখে যাওয়া সোনা সাদৃশ্য বার পায়, যার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এছাড়া পুলিশ আমার হিসাব নম্বরের বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই,চুক্তি নামা দলিল, আমার ব্যবহৃত পাসপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড ও আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস উদ্ধার করে জব্দ তালিকা করে নিয়ে যায়।
পরে লোক মারফত জানতে পারি মোকছেদা বাদি হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় ২৯ শে আগস্ট আমার নামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
এর পর সর্বশেষ আপোষ মিমাংসার কথা বলে ইলাহি গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর দৌলতপুর গ্রামে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়।
আমি সরল বিশ্বাসে সেখানে যাওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইলাহি ও মোকছেদার নির্দেশে
তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।
আমি অচেতন হয়ে পড়লে তারা চলে যায়, আমার জ্ঞান ফিরলে আমি সেখান থেকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেই।
যা পুলিশ কেস হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে।
সন্ত্রাসী জুয়েল ইলাহী ও মোকছেদার ভয়ে চরম আতঙ্কে ও উৎকন্ঠায় দিন কাঁটছে বিপ্লব ও তার পরিবারের।
Leave a Reply