
সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে,উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কুজিশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের এমন চাঞ্চল্যকর জঘন্য ঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ রিয়াজ আলী(৫৮)। সে কুজিশহর গ্রামের মৃত অফের আলী মন্ডলের ছেলে। সে কুজিশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটানারও অভিযোগ রয়েছে।
এঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তাকে সাময়িক ওই স্কুল থেকে বদলি করে পাশের এক স্কুলে দিয়েছেন। কিন্ত তাকে শাস্তির আওতায় না এনে শুধু বদলি করায় ক্ষোভে ভাসছে অভিভাবক সহ এলাকাবাসী। জানা গেছে, এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে,গত অক্টোবর মাসের ২১তারিখ মঙ্গলবার। তবে ঘটনার সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ওই স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক সহ এলাকাবাসীর মধ্যে চাপাক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। কুজিশহর গ্রামের এক অভিভাবক জানান,এ শিক্ষক এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, কিন্তু মান সম্মানহানীর ভয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সে আবারও সেই জঘন্য কাজ করেছে বলে এরকম মানুষরপী শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রিয়াজ আলী মাষ্টারের ফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করে বলেন,ঘটনা আপস মিমাংসা করে নেয়া হয়েছে, পরে ফোন দিচ্ছি বলে ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রিয়াজ আলী মাষ্টারকে সাময়িক বদলি করে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া প্রধান শিক্ষক সখিনা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পরে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক অব্যহতি দিয়ে আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আগের প্রধান শিক্ষক এ স্কুলে আসছেনা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌসী জানান,ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি, তবে কেউ কোন অভিযোগ না করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ঘটনা শান্ত রাখতে প্রধান শিক্ষককে পাশের এক স্কুলে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply