
মোহাম্মদ মাসুদ
চট্টগ্রামে নগরের চকবাজার থানার শৌচাগার থেকে মো. অহিদুর রহমান নামে এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্তব্যরত সারারাত ডিউটি শেষে সকালে শৌচাগারে ফ্রেশ হতে গিয়ে কর্মস্থলেই থানার ব্যারাকে এসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ লাশ উদ্ধার। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
পুলিশ সদস্যের কর্মস্থলে এমন ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মেনে নিতে পারছে না প্রশাসন সাধারণ কেউই । জনমনে ভয় আতংক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্রই। প্রশাসন মহান দায়িত্বে কর্তব্যরত পুলিশ রক্ষকেই যদি নিরাপদ না থাকে। কর্মস্থলে যদি আত্মহত্যা বা মৃত্যু হয়। সাধারণ মানুষের অবস্থা নিরাপত্তা নিয়ে সন্ধিহান। অনিশ্চিত নানা নীতিবাচক প্রশ্নে ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ হয় সাধারণ জনমনে।
২৩ নভেম্বর,রোববার, বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. অহিদুর রহমান নোয়াখালীর কবির হাট থানার বনি দত্ত এলাকার মো. শহীদুল্লাহর ছেলে।
বর্তমান কর্মস্থলের যোগদানের আগে তিনি বরিশালে কর্মরত ছিলেন। সেখানেই তার পরিবার রয়েছে বলে জানা যায়।
সহকর্মীরা জানান, সকালে ডিউটির জন্য তাকে খুঁজে না পেয়ে ব্যারাকের বাথরুমে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে থানার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে এসআই অহিদুর রহমানকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তে জানা যাবে। থানা সূত্রে জানা যায়, মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ‘নাইট ডিউটি করার পর ফ্রেশ হতে টয়লেটে গিয়েছিলেন অহিদুর। পরে অনেকক্ষণ সেখান থেকে বের না হওয়ায় অন্যরা দরজায় টোকা দেন। কিন্তু তার কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙে দেখা যায়, তিনি ফাঁস দিয়েছেন।
চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজের হোসাইন জানান, রাতে থানায় ডিউটি করে সকাল ৯টার দিকে বাসায় গিয়েছিলাম। এ সময় ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) কল দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) আসতে বলেন। সেখানে গিয়ে এসআই অহিদুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা জেনেছি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আলমগীর জানান, রাতে ডিউটি শেষে সকালে গোসল করতে গিয়েছিলেন অহিদুর রহমান। পরে সেখানে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি আগে বরিশাল ছিলেন। তার পরিবারও বরিশালে থাকে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।
উক্ত বিষয়ে, বিষয়ে জানতে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেনি। তবে, ভিন্ন সূত্রে তার উল্লেখিত বক্তব্য পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য :
কর্মস্থলেই অবিশ্বাস্য চাঞ্চল্যকর পুলিশ কর্মকর্তার আশ্চর্যজনক এমন অনাকাঙ্খিত লোমহর্ষক মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশে ব্যাপক শীর্ষ সমালোচিত হয় দেশজুড়ে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রশাসন গণমাধ্যম সর্বস্তরের মানুষের মাঝে তীব্র নেতিবাচক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যেই। শীর্ষ আলোচিত হয় নানা গুঞ্জনে। প্রশ্নবিদ্ব সকলের মাঝে। আত্মহত্যা বা ভিন্ন কোনো কারণ যেভাবেই হোক অভিযোগ উঠেছে নানা তীব্র মিশ্র প্রতিক্রিয়ায়।
হত্যা না আত্মহত্যা রহস্যজনক এই মৃত্যুতে নেপথ্যে রয়েছে ভিন্ন কিছু রহস্য। নাকি নিছক আত্মহত্যা অনাকাঙ্খিত বিচ্ছিন্ন কোন অঘটন। কর্মস্থলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ভয় আতঙ্কে মর্মাহত সকলেই। । পুলিশ সহকর্মীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে থানা প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে পরে গভীর শোকের ছায়া। প্রতিটি মানুষের জীবন হোক নিরাপদ। আর কোন মৃত্যু নয়। সুষ্ঠু তদন্তে বের হয়ে আসুক ঘটনার প্রকাশের ধামাচাপা নয়। সঠিক সত্য নিরপেক্ষ তদন্তে গভীরে ও আড়ালে নেপথ্যের কারণ হোক উন্মোচন।
Leave a Reply