
লালমনিরহাট প্রতিনিধি ::
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে তিন সম্মানিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিগাছ ইউনিয়নের কুঠি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, ফজলার রহমান ও সোহাগী বেগম এর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। সরেজমিনে
অভিভাবক ও অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে করা হয়েছে।
অভিযোগ কারী সখিনা বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার শিশু ঐ স্কুলে পড়ে । আমি নিয়মিত উপবৃত্তির টাকা পাই।
তিনি আরো বলেন, সেদিন স্কুলের কাজের কথা বলে একটি সাদা কাগজের স্বাক্ষর করে নেয় ঐ এলাকার এক ব্যক্তি। আর এক অভিযোগকারী এনামুল এর স্ত্রী বলেন, আমার দুই শিশু এখানে লেখাপড়া করে আমিও নিয়মিত উপবৃত্তির টাকা পেয়ে আসতেছি।
গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় একটি মহল প্রচার করে আসছিল যে, অভিযুক্ত শিক্ষকগন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করেছেন এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষকগন বলেন বলেন, “আমরা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সততার সাথে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। আমাদের সম্মান নষ্ট করার জন্য এবং আমাদের কে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল এই মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। উপবৃত্তির টাকা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে অভিভাবকদের কাছে যায়, এখানে আমাদের কোনো হাত নেই।
শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার মেয়ে মাইশা এখানে শিশু শ্রেণী হতে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তেছে তাই সে উপবৃত্তির আওতায় আছে। সহকারী শিক্ষক ফজলার রহমান বলেন একটি ছাত্রের মায়ের নাম আমার স্ত্রীর নামের সঙ্গে মিলে যাওয়ায়। তারা অভিযোগ করেছেন আমি সেই উপবৃত্তির টাকা গ্রহণ করি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহেদুল ইসলাম বলেন, “আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। অভিযোগটির বিষয়ে তদন্তের কার্যক্রম চলমান অবস্থায় আছে।
Leave a Reply