
সাঁথিয়া প্রতিনিধি :
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমুল পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ একটি মহলের মধ্যে কোন পরিবর্তন আসেনি। কেউ কেউ জুলাইকে ৭১ এর মত ব্যবসায়ীক কার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। জুলাই আন্দোলনকে ক্রেডিটের রাজনীতি করতে গিয়ে জুলাইয়ের স্পীডকে তারা হারিয়ে ফেলছে। জুলাইয়ের স্পীডকে তারা বিক্রি করে দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) রাতে পাবনার সাঁথিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে আয়োজিত বিশাল ছাত্র ও যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাইকে তারা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা কামাই করতেছে। আজকে সচিবালয়ে মন্ত্রনালয়গুলোতে যান এখনো দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। এজন্য কি শহীদরা জীবন দিয়েছে এজন্য কি শহীদ পরিবারে আজও কান্না চলছে। জুলাইয়ের পর আবার বাংলাদেশে দুর্নীতি চলবে এটা হবে না। আমরা বলতে চাই আপনারা ভালো হয়ে যান। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। ইতিহাস বেশি দূরে নয় অনেক কাছেই রয়েছে। বাংলাদেশে আর কোন সন্ত্রাসবাদ চলবে না। আর চাঁদাবাজির রাজনীতি চলবে না। দুর্নীতির রাজনীতি চলবে না। হত্যা করার রাজনীতিও চলবে না। পাথর মেরে মানুষ হত্যা করা এ রাজনীতিও চলবে না। সিলেট থেকে পাথর নিয়ে খেয়ে ফেলবেন এ রাজনীতি আর চলবে না।
শিবির সভাপতি বলেন, আমরা চাই কাঁদা ছুঁড়াছুরির রাজনীতি বন্ধ হোক। আপনি নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে হাজির হোন। দেশের মানুষের জন্য কি করবেন এটা নিয়ে হাজির হোন। বাংলাদেশে সৎ মানুষের রাজনীতি চলবে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালে লগি-বৈঠার মাধ্যমে হত্যা করে লাশের উপর নৃত্য করেছিল। এরপর ক্ষমতায় এসেই দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে হাসিনা। দিল্লির কাছে দেশকে ইজারা দিতে এসব হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। শাপলা চত্বরে আলেমদের গণহত্যা করেছে। জুলাইতে আবাবিলের মত সব শ্রেণীর লোক পাঠিয়ে হাসিনাকে পতন করেছে। সব শ্রেণীর মানুষ আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছিল। জুলাই কোন হঠাৎ কোন ঘটনা নয়। এটি বহু দিনের জাগরণ ছিল। জীবন দিবো কোন বাতিলের কাছে আমরা মাথা নত করব না। আদর্শিক ভিত্তি থেকে জুলাই সংগঠিত হয়েছে।
নাজিব মোমেনকে উদ্যেশ্য করে তিনি বলেন, নাজিবুর রহমান মোমেন শহীদের উত্তরসূরী। তিনি তরুণ প্রজন্মের আইকন। তিনি বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিবেন। নাজিব মোমেন ভাইকে দাঁড়িপাল্লায় বিজয়ী করতে হবে। যাতে দেশে ন্যায় ইনসাফের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। আদালত পাড়ায় কোন ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না। বৈষম্য থাকবে না, বেকার থাকবে না। পেছনের গ্লানী মুছে ফেলে সামনের দিকে আগাতে হবে। নতুন প্রজন্মের চাহিদাতে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে রাজনীতি চলবে না। যারা পিছনের রাজনীতি ফিরে আনার চেষ্টা করবেন তারা প্রত্যাখান হবে।
বিশেষ অতিথি ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইনসাফের বাংলাদেশ। ডাকসু, রাকসু,জাকসু এবং চাকসুতে ইনসাফের প্রতিনিধিরা বিজয়ী হয়েছন।আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করার জন্য মুখিয়ে আছে। ব্যারিস্টার মোমেন ভাই তরুণদের আইকন। তিনি পাবনার সাঁথিয়াকে বাংলাদেশের রোল মডেল করতে চায়। মোমেন ভাই ইনসাফের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ছাত্র এবং যুবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মোমেন ভাইকে বিজয়ী করতে হলে দল, মত,জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে উদেশ্য করে বলেন, আপনারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে চেষ্টা করুন।
যারা পিছন থেকে, ইন্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় আসতে চান তাদের অবস্থা ফ্যাসিস্টদের চেয়েও ভয়ংকর হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, পাবনা-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী ব্যরিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা ইকবাল হোসাইন, পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খান, পাবনা-২ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
Leave a Reply