আব্দুল মজিদ মল্লিক, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছীতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় অটোরিকশায় কৃষ্ণ রবিদাস (৩০) নামে এক গ্রামপুলিশের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরে বদলগাছী
নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা জার্মানির তৈরি দুটি হাতুড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। পাশাপাশি দুটি পাইপ কাটারের দাম দেখানো হয়েছে ৯২ লাখ ৯৯ হাজার এমন অস্বাভাবিক দাম দেখে বিভ্রান্ত হয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালানটি আটকে দেয়। পরে সিপিজিসিবিএল ও পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছে ব্যাখ্যা চায়। কাস্টমস সূত্র জানায়, শুধু এই দুটি পণ্য নয়, এই চালানের ১৯টি পণ্যই অযৌক্তিক উচ্চমূল্যে আমদানি করা হয়েছে। জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত ৯ জানুয়ারি ৩৪৪ দশমিক ৫ কেজি ওজনের একটি ছোট চালান আমদানি করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা এ চালানটির আমদানি মূল্য দেখানো হয় ২ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা বা ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৩ মার্কিন ডলার। চালানটিতে থাকা অন্যান্য টুলসের মধ্যে রয়েছে টুলবক্স, মাঙ্কি প্লায়ার, সেট মেকানিক্যাল প্লায়ার, চিসেল অ্যান্ড স্পান্সার, স্প্যানার এবং কার ফিটার সেট। জাপানের সুমিটোমো করপোরেশনের পক্ষ থেকে কেএস টুলস ওয়ার্কজেউজ এসব পণ্য সরবরাহ করে। এ চালানে যেসব পণ্য আমদানি করা পণ্য পাওয়ার প্ল্যান্টে সরাসরি ব্যবহার করার জন্য নয়। এসব হ্যান্ড টুলস অবাধে আমদানিযোগ্য ও সব ধরনের নির্মাণ ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ব্যবহার হয়। একই ধরনের পণ্য আমদানি তথ্যের সঙ্গে তুলনা করলে সিপিজিসিবিএলের আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক। চট্টগ্রাম কাস্টমসের আমদানির ডেটাবেইজ অনুসারে, গড় শুল্কায়ন মূল্যের তুলনায় এসব পণ্যের আমদানি ব্যয় অন্তত ৫ গুণ থেকে ১৮ হাজার ৫৪৫ গুণ বেশি। এনবিআরের নথিতে এসব পণ্যের আমদানি ব্যয় এনবিআরের সার্ভারের (আমদানি-রপ্তানি ডেটাবেস) রেকর্ড মূল্যের চেয়ে ৫ থেকে ১৮ হাজার ৫৪৫ গুণ বেশি দেখানো হয়েছে। জার্মান কোম্পানি কেএস টুলসের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, একই মানের একটি পাইপ কাটারের দাম ৬০ দশমিক ২৭ ইউরো বা প্রায় ৭ হাজার ২৩২ টাকা। সে হিসাবে মূল্য ৬৪২ গুণ বা ৬৪২০০ শতাংশ বেশি দেখানো হয়েছে। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী একটি হাতুড়ির দাম ১৩ দশমিক ৯ ইউরো বা ১ হাজার ৬৬৮ টাকা। আমদানি মূল্যে যার দাম ৫৫ গুণ বা ৫৫০০ শতাংশ বেশি দেখানো হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাইপ কাটার টুলের দাম ডেটাবেস মূল্যের চেয়ে ১৮ হাজার ৫৪৫ গুণ, পাইপ রেঞ্চ ১ হাজার ৫৩ গুণ, মাঙ্কি প্লায়ারের দাম ৯১২ গুণ, স্ক্রু ড্রাইভারের দাম ৮৩৩ গুণ এবং হাতুড়ির দাম ১১২ গুণ বেশি দেখানো হয়েছে। এ বিষয় মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাস্টমস অস্বাভাবিক দাম বললেও স্বাভাবিক দামই ধরা হয়েছে। বিশেষভাবে অর্ডার দিয়ে বানানোর কারণে দাম বেশি মনে হতে পারে। একটি পাইপ কাটার যন্ত্রের দাম ৪৬ লাখ ৫ হাজার টাকা। এটা অস্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটি পাইপ কাটার বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য ‘বিশেষ ধাতু’ ব্যবহার করে তৈরি। ফলে দাম বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। সিপিজিসিবিএল তাদের এমন কোনো বিশেষ আদেশ দেখাতে পারেনি যা দেখে মনে হবে এগুলো বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনবিআর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের দাম বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন পিডিবি এবং সিপিজিসিবিএল কর্তৃপক্ষ। এনবিআরের নথি অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে মাতারবাড়ী প্রকল্পের জন্য একটি চালান খালাস করে রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানটি। ইথারনেট সুইচ বা নেটওয়ার্ক সুইচ নামেও পরিচিত। যা জার্মান ব্র্যান্ড হিরশম্যানের। কোম্পানির ওয়েবসাইটে ইথারনেট সুইচের দাম ছিল ৪৮৮১ দশমিক ৮৩ ডলার। যদিও পণ্য চালানটি আমদানি করা হয়েছিল ২ লাখ ৫ হাজার ২১৮ ডলার বা ২ কোটি ৩ লাখ টাকায়। যা আমদানি মূল্যের তুলনায় ৪২ গুণ বা ৪২০০ শতাংশ বেশি। এদিকে কাস্টমস কেন চালানটি ক্লিয়ার সম্পর্কে কাস্টমসের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, পিডিবি, সিপিজিসিবিএল এবং প্রকল্প পরিচালককে ব্যাখ্যার জন্য চিঠি দিয়েছি। উভয় কর্তৃপক্ষই লিখিতভাবে জানিয়েছে যে পণ্যগুলো বিশেষভাবে প্রকল্পের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি। “কৃষিই সমৃদ্ধি” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ২০২৩-২৪অর্থবছরে খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে উফশী ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে ক্ষুদ্র
মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি। শেরপুরে আব্দুল হালিম জীবন (৪৮) নামের এক আমেরিকা প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি শহরের মধ্য নওহাটা (জেলখানা মোড়) নিবাসী সাইদুর রহমান সুজন
মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি। শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মদ খেয়ে নদী পার হতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সকালে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার