স্টাফ রিপোর্টার:
টানা ২বার ইউপি চেয়ারম্যান থাকার পরেও ৩য় বারের মত নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান হতে ওসিকে ২৬লক্ষ ২০হাজার টাকা ঘুস প্রদানের দাবি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ জাকির হোসেনের।
সদ্য বিদায়ী সাতক্ষীরা সদরের অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবিরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন তিনি। আশাশুনি থানার ওসি থাকাকালিন সময়ে এ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করলেও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদায়ী ওসি গোলাম কবির।
সাবেক চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ইউনিয়নটি দীর্ঘদিন স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির হাতে ছিলো। আবারো আমাকে হারাতে স্বাধীনতা বিরোধীরা চক্রান্ত শুরু করলে উপায়ন্তর হয়ে তৎকালিন আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ৩০লক্ষ টাকা দাবি করেন। সে অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ২৬লক্ষ ২০হাজার টাকা তার কাছে প্রদান করি।
কিন্তু ভোটে আমাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়। পরে তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে।
টাকা লেনদেন বা টাকা ফেরত চাওয়ার কোন ফোন রেকর্ডিং বা কোন প্রমান আছে কি-না? আপনাকে ফেল করানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ উনি নিয়ে ছিলেন ? এমনকি কি পন্থা অবলম্বন করে আপনাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২৬ লক্ষ্য টাকা নিয়ে ছিলেন ? এধরনের একাধিক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে কোন প্রমান নেই। ভোট চলাকালীন সময়ে আমার লোকজনদের সাথে দাপট দেখিয়ে বলেছে “নৌকা তলিয়ে দিয়ে ছাড়বো”। আমার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি কাজ করছিলো তাই আমি ওসি গোলাম কবিরের সাথে চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য কনট্রাক করেছিলাম।
এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।
তবে এবিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক গোলাম কবির বলেন, আমাদের দায়িত্ব থাকে নির্বাচন কালিন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। নির্বাচনে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী থাকেন জেলা প্রশাসক, জেলা রিটার্নিং অফিসার মহোদয়। তিনি আরও বলেন, আমার সাথে তার কোন লেনদেন হয়নি।
Leave a Reply