মোঃ মামুন বিল্লাহ্
সদর উপজেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
১৭জুন, ২০২২
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার মহিষপুরা বাসস্ট্যান্ডে পুরাতন ফেরিঘাটে জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনী দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৯৯৪ সালে বাগেরহাট জেলা পরিষদ এই যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেন। বর্তমানে স্থানীয় মকবুল হাওলাদারের ছেলে জাকির হাওলাদার জেলা পরিষদের এই যাত্রী ছাউনি সংস্কার ও সামনের রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ করছে। বিষয়টি নিয়ে হোগলাপাশা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম সেখ স্বাক্ষরিত এক খানা অভিযোগ জেলা প্রশাসক এবং জেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেছে। অচিরেই যাত্রী ছাউনিটি অবৈধ দখলমুক্ত করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার রামচন্দ্রপুর , চিংড়াখালী, বনগ্রাম ও হোগলাপাশা ইউনিয়নের শত শত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারন জনগন মহিষপুরা বাসস্ট্যান্ডের পুরাতন ফেরিঘাট ব্যবহার করে পিরোজপুর শহরে যাতায়াত করে। ঝড় বৃষ্টি কিংবা রোদে সকলেই জেলা পরিষদের এই যাত্রি ছাউনি ব্যবহার করে আসছিল। হঠাৎ স্থানীয় জাকির হাওলাদার জেলা পরিষদের নাম মুছে দিয়ে যাত্রী ছাউনিতে সংস্কার কাজ শুরু এবং রাস্তার কিছু অংশ দখল করে ইমারত নির্মাণ করে। জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনিটি জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিধায় পূর্বের ন্যায় উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহেশপুরা পুরাতন ফেরিঘাটে জেলা পরিষদের এই যাত্রী ছাউনিটি ও রাস্তার কিছু অংশ দখল করে যাত্রী ছাউনী সংস্কারের কাজ চলছে। তুলে ফেলা হয়েছে জেলা পরিষদের লেখা “যাত্রী ছাউনী”। এই ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ রোদ বৃষ্টি কিংবা ঝড়ে ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশেপাশে কোন ভবন নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই এই যাত্রী ছাউনিটি পূর্বের ন্যায় উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবী জানান।
জাকির হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই যাত্রী ছাউনিটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল, ছাগল হাঁস মুরগি যাত্রী ছাউনিটিকে নোংরা করে রেখেছিল। জেলা পরিষদের কাছ থেকে অনুমতি এবং সরকারি ফি পরিশোধ করে যাত্রী ছাউনিটি সংস্কার করছি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু ঢাকাতে চিকিৎসাধীন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। বাবুল হাওলাদার ও সেলিম সেখ স্বাক্ষরিত এক খানা আবেদন পাওয়া গেছে বলে জানান তারা। তারা বলেন, আবেদনটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করার পর যাত্রী ছাউনিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
Leave a Reply