1. emon@frilix.com : Emon Hasan : Emon Hasan
  2. editormrahman80@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
  3. info@www.janatarkatha24.com : admin :
  4. wpapitest@config.com : wpapitest :
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
“কলম ধর মাদক ছাড়ো”: শালেরহাটে প্রথম শিক্ষা সেমিনারে জ্ঞানের মশাল প্রজ্জ্বলন সিংড়ায় শিবিরের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের একত্রিতকরনের লক্ষ্যে ঈদ পুনর্মিলনী নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার, ধারালো অস্ত্র উদ্ধার ওসি প্রদীপ’র ১০০ খুন’র নেপথ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ১৬ বছরের সামান্য মাত্র : মেয়র শাহাদাত নড়াইলে যুবদলের কমিটিতে যুবলীগের নাম, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন নাজিরপুরে চাঁদাবাজ মুক্ত ও মাদকবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত নারী ক্রেতাকে বিক্রেতার ধর্ষণ : আটক র‍্যাবের হাতে সাঁথিয়ায় হারুন অর রশিদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত সিংড়ায় জামাতের ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়
শিরোনাম:
“কলম ধর মাদক ছাড়ো”: শালেরহাটে প্রথম শিক্ষা সেমিনারে জ্ঞানের মশাল প্রজ্জ্বলন সিংড়ায় শিবিরের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের একত্রিতকরনের লক্ষ্যে ঈদ পুনর্মিলনী নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার, ধারালো অস্ত্র উদ্ধার ওসি প্রদীপ’র ১০০ খুন’র নেপথ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ১৬ বছরের সামান্য মাত্র : মেয়র শাহাদাত নড়াইলে যুবদলের কমিটিতে যুবলীগের নাম, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন নাজিরপুরে চাঁদাবাজ মুক্ত ও মাদকবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত নারী ক্রেতাকে বিক্রেতার ধর্ষণ : আটক র‍্যাবের হাতে সাঁথিয়ায় হারুন অর রশিদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত সিংড়ায় জামাতের ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়

ইসলামপুরে টুং টাং শব্দে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

সুমন খন্দকার (ইসলামপুর) জামাপুর প্রতিনিধি :

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন ইসলামপুরের কামার শিল্পীরা। চলছে হাঁপর টানা, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। হাতুড়ি পিটিয়ে কামার তৈরি করছেন চাপাতি, ছুরি, চাকু, দা, বটিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম।

টুং টাং শব্দেই যেন জানান দিচ্ছে আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা ঈদের দিন। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটি অত্যাবশ্যকীয়। সেগুলো সংগ্রহ এবং প্রস্তুত রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত। আর এ উপকরণ তৈরি ও শান বা লবন-পানি দেয়ার কাজে প্রয়োজন কামারদের। পশু কোরবানির দা, ছুরি ও চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে এখন থেকেই মানুষ কামারপাড়ায় ঢু-মারছেন। আবার কেউ কেউ পুরাতন সরঞ্জাম মেরামত অথবা শান দিয়ে নিচ্ছেন।

প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলেও জানায় কার্মকার শিল্পীরা। বর্তমান অধুনিক যন্ত্রপাতির প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠে এ শিল্প। শান দেয়া নতুন দা, বটি, ছুরি ও চাকু সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে। দোকানের জ্বলন্ত আগুনের তাপে শরীর থেকে ঝরছে অবিরাম ঘাম। চোখে মুখে প্রচন্ড ক্লান্তির ছাপ। তবুও থেমে নেই তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কাজের ব্যস্ততা।

যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে বিক্রি খুব কম। সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করলেও তাদের মুখে নেই কোন উচ্ছাস, নেই প্রাণভরা হাসি। তারপরও আসন্ন কোরবানির ঈদের কথা মাথায় রেখে নতুন আশায় বুক বেঁধে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। হাতুড়ি আর লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামার দোকানগুলো। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে এমন কর্ম ব্যস্ততা। কিন্তু অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান সময়ে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লোহার জিনিসপত্র তৈরি করলেও তেমন কোন লাভ হয় না। অনেক সময় কয়লা একেবারেই পাওয়া যায় না। কি আর করব পূর্ব পুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই হবে।

জানাযায়, এ উপজেলায় ১টি পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। পৌর এলাকার উত্তর দরিয়াবাদ, গাঁওকুড়া,মন্ডল পাড়াসহ প্রতিটি ইউনিয়নে আছে কামারের দোকান। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সেখানে লোহা আর হাতুড়ির শব্দে এখন আকাশ-বাতাস মুখরিত। এ পেশার মানুষ সারা বছর কমবেশি লোহার কাজ করলেও কোরবানী ঈদে বৃদ্ধি পায় তাদের কর্ম ব্যস্ততা।

অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরই কোরবানীর ঈদে দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ লোহার বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ মৌসুম ঘিরে ভালো আয়-উপার্জন করে থাকেন তারা।

বর্তমানে বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে অকিল চন্দ্র কর্মকার নামের এক কামার বলেন, কাস্টমার নেই, আর কিছু দিন পর ঈদ। অন্যান্যবার এই সময়ে জমে ওঠে দা-বটির বাজার, অথচ এবার বিক্রিই নেই। ক্রেতারা আসে না। সারাদিনে দুই তিনটা দা-বটিও বিক্রি হয় না।

কামার শিল্পী খোকন চন্দ্র কর্মকার, সঞ্জিত কর্মকার ও আবুল হোসেন বলেন, বছরের কোরবানী ঈদে আমাদের মূল টার্গেট থাকে। বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করার চিন্তা করলে এই দিনগুলা ঘিরেই করা হয়। ভেবেছিলাম কোরবানি কেন্দ্র করে বেশি অর্ডার আসবে। কিন্তু পরিস্থিতি এখন একেবারেই ভিন্ন। অন্যান্য কামার ব্যবসায়ীরাও একই রকম কথা জানান। এখন তাদের আশা ঈদ এগিয়ে আসছে যদি বিক্রি কিছুটা বাড়ে। সেই লক্ষ্যেই থেমে না থেকে একের পর এক জিনিসপত্র তৈরী করে চলেছেন তারা।

দক্ষিণ কিসমতজাল্লার হাজী আঃ মোতালেব খান ও পশ্চিম ভেংগুড়ার জালাল শেখ জানান, কিছু দিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে প্রয়োজন চাকু ও ছুরির। সে কারণে বাজারে এসেছি দা, বটি ও ছুরি কিনতে। তবে গত বছরে এসব জিনিসের যে দাম ছিল তার চেয়ে এবারে দাম অনেকাংশে বেশি। বর্তমানে ভালো মানের প্রতিটি দা তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২৫০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা। বড় ছুড়ি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৫০০-৭০০ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। এখনো ঈদের বেশ কিছু বাকি রয়েছে ইসলামপুর উপজেলার কামার শিল্পীদের প্রত্যাশা ঈদের যেহেতু আরোও কিছুদিন বাকি রয়েছে বেচাকেনা আরো বাড়বে।

 

সুমন খন্দকার
ইসলামপুর,জামালপুর।
২৯.০৬.২০২২

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2024 Frilix Group
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD