এস,এম, নুর
পিরোজপুর প্রতিনিধি
আসন্ন ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে পিরোজপুর সদর উপজেলায় জমতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুরহাট।
তবে বেচাকেনা এখনও সেভাবে জমে
উঠেনি। খামারী, ব্যবসায়ী , মৌসুমী পশুপালনকারী ও কৃষকরা বিভিন্ন পশুরহাটে কোরবানির পশু নিয়ে গেলেও বিক্রি হচ্ছে কম । অপর দিকে কোরবানীর হাটগুলো জমিয়ে তুলতে রং বেরং এর
ব্যানার দিয়ে গেইট নির্মাণ, মাইকিং করছেন ইজারাদাররা । খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পিরোজপুর সদর উপজেলার উল্লেখযোগ্য স্থায়ী ও অস্থায়ী কোরবানীর পশুরহাটগুলো হচ্ছে পাঁচপাড়া বাজার দুর্গাপুর বাজার কদমতলা বাজার দাউদ পুর বাজার শিকদার মল্লিক বাজার ও
সদর । এর হাটের মধ্যে পাঁচ পাড়া ও দুর্গাপুর বাজার হচ্ছে কোরানীর পশুর সব চেয়ে বড় হাট ।
পাঁচপাড়া বাজারে বসে সপ্তাহে বৃহস্পতি ও সোমবার আর দুর্গাপুর বাজার বসে রবি এবং বুধ বার ।
বৃৃহস্পতি বার সদরের বাজারে পশু হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরু ও ছাগলের নিয়ে বসে আছেন খামারী ,কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
বাজারে লোক সমাগম হলেও বেচা বিক্রি কম। এ বছর এবার কোরবানীর পশু হিসাবে প্রধান্য পাচ্ছে স্থানীয় খামারে পালিত দেশি জাতের গরু ছাগল।
তবে যারা কিনতে আসছেন তারা শুরুতে দাম একটু বেশি বলে জানিয়েছেন। হাটের ইজারাদার সৈয়দ আহসান এর সাথে কথা বলে জানা যায়, হাটে পশু নিয়ে আসা সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার
জন্য মাইকের বলা হচ্ছে ।
বেচা বিক্রি এখন শুরু হয়নি। শেষের দিকে বিক্রি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । হাটে পশু ব্যবসায়ী ও খামারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় এবার খামারীদের খরচ একটু বেশি পড়ছে। ফলে গতবারের তুলনায় এবার গরু – ছাগলের দাম একটু বেশি পড়বে বলেও জানান তারা।গতবছর উপজেলায় চাহিদার চেয়ে কুরবানির পশুর পরিমাণ বেশি ছিল
এবং করোনার আয় রোজগার কম থাকায় অনেকেই কোরবানী দেয়নি । যে কারণে শেষের দিকে এসে অনেক খামারীকে লোকসান দিয়ে পশু বিক্রি করতে হয়েছে । এরকম বেশকিছু
খামারী লোকসানের কারণে এ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। যারা অধিক খরচ করে খামার টিকিয়ে রেখেছেন, তারা এবার লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন কিনা এ দুচিন্তায়
রয়েছেন।
পাঁচপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান বলেন, গত বছর ক্ষুদ্র খামারী ও আমার মত ছোট ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবার কি হবে বুঝতাছি না গো-খাদ্যর
দাম বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম বেশী । ছোট আকৃতির একটি গরু এ বছর ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার, মাঝারি আকৃতির গরুর দাম ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা এবং মোটামোটি বড়
গরু ১লক্ষ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার দাম পড়বে। এছাড়া অনেক বড় যে গুলি সেগুলি ৫ লক্ষ টাকার উপরে পড়বে ।
পিরোজপুর সংবাদদাতা।
Leave a Reply