শাকিল আহমেদ, নড়াইলঃ
নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে নড়াইল ডায়াগোনষ্টিক সেন্টার নামে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে দিনের পর দিন সাধারন রুগীদের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছেন জনক কুমার দাস।প্রতিষ্ঠানের ওয়ালে টাঙ্গিয়েছেন সাইন বোর্ড।তিনি গ্রাম্য ডাক্তার সমিতির নড়াইল জেলার সাধারন সম্পাদক।আর এই পরিচয়কে পূজি করে তিনি বিশিষ্ট ডাক্তার হিসেবে নড়াইল জেলা চষে বেড়াচ্ছেন।
কখনও তুলারামপুর, কখনও লাহুড়িয়া,আবার কখনও মহাজন বাজার।আর তার এইসব প্রতারনামূলক কর্মকান্ডে সহযোগীতা করছে কতিপয় দালাল ও তার মত কিছু ভূয়া ডাক্তাররা।সম্প্রতি অবৈধ ডায়াগোনষ্টিক সেন্টার ও অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকলেও জনক দাস প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছেন তার এ অপকর্ম। এম বি বি এস, ও বি ডি এস ডিগ্রিধারী ছাড়া নামের আগে ডাক্তার লেখা যাবেনা ও রুগীদের ব্যবস্থাপত্র দেওয়া যাবেনা।
সরকারী এমন নির্দেশনা থাকলেও জনক দাস তা মানেন না।তিনি সকল বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের মত চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৫/০৭/২০২২ ইং তারিখে মহাজন বাজারে চেম্বার বসিয়ে অবৈধ কোয়ান্টাম মেশিন দিয়ে রুগীদের সাথে প্রতারনা করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে পালিয়ে বাচেঁন এই প্রতারক জনক দাস। এর পূর্বে নড়াইলের লাহুড়িয়া বাজারেও একই ঘটনা ঘটে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
নড়াইল ল্যাবসান ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারের ডাক্তার হাফিজুর রহমান মুক্ত (এম বি বি এস) এ প্রতিবেদককে জানান, অবৈধ ডায়াগোনষ্টিক সেন্টার ও অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে সরকারী নির্দেশনা থাকলেও নড়াইলে এর কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়না,সদর হাসপাতালের সামনে একাধিক ব্যাক্তি ডাক্তার না হয়েও প্রতিনিয়ত চেম্বার সাজিয়ে রুগী দেখছেন।গ্রাম থেকে আসা সাধারন রুগীরা দালালদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে এসব ভূয়া ডাক্তারদের কাছে যেতে বাধ্যহন।আর সেখানে চিকিৎসার নামে প্রতারিত হয়ে অর্থদন্ড দিয়ে বাড়ি চলে যান,এসব ভূয়া ডাক্তারদের জন্য লাইসেন্সধারী ডাক্তাররা রোগী পাচ্ছেন না।
খুবদ্রুতই জনক দাসের মত ভূয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
Leave a Reply